অনুষ্ঠানে আনিসুল হক বলেন, এ বিতর্ক উৎসবে সারা দেশের স্কুলশিক্ষার্থীরা অংশ নিতে পারবে। প্রথম আলো চায় স্কুলের শিক্ষার্থীরা বিতর্ক করুক। এতে মানুষের সামনে যুক্তি দিয়ে কথা বলার অভ্যাস গড়ে ওঠে। এখন শিশু-কিশোরেরা মুঠোফোনকেন্দ্রিক। মাথা নিচু করে থাকে। তাদের মাথা উঁচু করতে হবে।
স্বাস্থ্যবান ও বুদ্ধিদীপ্ত প্রজন্ম গড়ে তুলতে পুষ্টির অবদান আছে উল্লেখ করে আনিসুল হক বলেন, প্রথম আলো ও পুষ্টির এই যৌথ উদ্যোগ জাতিকে জ্ঞানবান, বুদ্ধিমান ও স্বাস্থ্যবান করবে; পাশাপাশি উন্নত বাংলাদেশ গড়তে সহায়ক হবে। বিতর্ক উৎসব করতে সহযোগিতার জন্য পুষ্টিকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
শিক্ষার্থীদের সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে আনিসুল হক বলেন, প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া ছাড়াও উৎসবে শামিল হবে সবাই। এটা শুধু বিতর্কের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না; এটা জ্ঞান, সৃজনশীলতা ও আনন্দের জাতীয় উৎসবে পরিণত হবে।
মোহাম্মদ মোফাচ্ছেল হক আশা ব্যক্ত করেন, আগেরবারের মতো এবারের উৎসবও আনন্দময় ও জাঁকজমকপূর্ণ হবে। তিনি বলেন, পুষ্টি ও প্রথম আলোর এ উদ্যোগ বাংলাদেশের শিক্ষাঙ্গনে পরিবর্তন আনবে। পুষ্টি সব সময়ই ভালো কাজ ও শিক্ষামূলক কাজে অংশগ্রহণ করে থাকে। এ ধরনের আয়োজন শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশে ভূমিকা রাখবে।
এবার ঢাকাসহ সারা দেশের ৪০টি অঞ্চলে পুষ্টি-প্রথম আলো স্কুল বিতর্ক উৎসব হবে। প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হবে রাজধানীতে। এ আয়োজনের স্পনসর সহযোগী হিসেবে থাকছে টি কে গ্রুপের অন্যতম কনজ্যুমার ব্র্যান্ড পুষ্টি। আয়োজনটির সহযোগীতায় থাকবে প্রথম আলো বন্ধুসভা। অনুষ্ঠান সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পরবর্তী সময়ে জানানো হবে।
সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, সহযোগী সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম, ইভেন্ট অ্যান্ড অ্যাকটিভেশনের মহাব্যবস্থাপক অরূপ কুমার ঘোষ, প্রথম আলো বন্ধুসভা জাতীয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি উত্তম রায় ও সাধারণ সম্পাদক জাফর সাদিক। অন্যদিকে, টি কে গ্রুপের ব্র্যান্ড অ্যান্ড কমিউনিকেশনের প্রধান মো. ইব্রাহিম খলিল, পুষ্টির ব্র্যান্ড ম্যানেজার মো. আশরাফুল হোসেইন নূরী এবং এস এম সামিউর রহমান উপস্থিত ছিলেন।